ঢাকা: জনগণ চাইলে বিএনপিকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলটির সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে ফখরুল বলেন, মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সরকারের দুই বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ভাষণে মিথ্যাচারের প্রতিফলন ঘটেছে।
এর জবাবে হানিফ বলেন, বিএনপির নীতি মিথ্যাচার করা, লুটপাট করা। তারেক জিয়া লুটপাট করা টাকা নিয়ে লন্ডনে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে। সেখানে সে ওই টাকা দিয়ে গাড়ি-বাড়ি কিনেছে।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ক্ষমতায় থাকাকালে সন্ত্রাসীদের লালন করেছে। তারা পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে কাজ করেছে। খালেদা জিয়ার ধ্যান-ধারণা সবকিছুই পাকিস্তানি।
সরকার বিএনপিকে অবৈধ ঘোষণা করবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, জনগণ চাইলে বিএনপিকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছেন, আওয়ামী লীগ নাকি অবৈধ। তিনি মনে হয় ভুলে গেছেন, জিয়াউর রহমান সামরিক উর্দি পড়ে ক্যান্টনমেন্টে বসে বিএনপি দলটি গঠন করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন কাউন্সিল করে নির্বাচিত হওয়া দল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ভাষণে জাতি হতাশ হয়েছে, ফখরুলের এমন মন্তব্যের জবাবে হানিফ বলেন, জাতি হতাশ হয়নি, বরং বিএনপি হতাশ হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে সরকারের ধারাবাহিক সাত বছরের উন্নয়ন ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে সরকারের ভবিষ্যৎ রূপরেখা তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, দেশের মিডিয়াগুলো এখন সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে। তাই বিএনপির নেতারা টিভি টকশো’তে গিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার সুযোগ পাচ্ছে। দেশে উন্নয়ন হচ্ছে বলে বিএনপির অনেক নেতা স্বীকার করেছে। কিন্তু তারাই আবার বলছে, গণতন্ত্র না থাকলে নাকি দেশে উন্নয়ন হয় না।
বিএনপিকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে মন্তব্য করে হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সবগুলো নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ হয়েছে। মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। নির্বাচন থেকে বিএনপি দূরে সরে গিয়েছিল বলে, গত পৌরসভা নির্বাচনে মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আগের ভুল বুঝতে পেরে পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল তারা। নির্বাচনে হেরে গিয়ে এখন তারা বলছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। জিতলে সুষ্ঠু, না জিতলে কারচুপি। এটাই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতিন খসরু, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬ /আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা
এসএস/আরএইচএস/আরএম