ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

খালেদাকে ধন্যবাদ সুরঞ্জিতের

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
খালেদাকে ধন্যবাদ সুরঞ্জিতের ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা একটার দিকে রাজধানীর তোপখানা রোডে শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘পাকিস্তান পলিসিতে বিএনপি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ ধন্যবাদ জানান।



সুরঞ্জিত বলেন, খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে না এসে ভুল করেছেন। আর এ ভুল তিনি বুঝতেও পেরেছেন। তাই তিনি এবার আগামী মার্চ মাসে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। করেছেন। এর আগে অংশ নিয়েছেন পৌরসভা নির্বাচনে।

‘এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই’- বলেন সুরঞ্জিত।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সহ সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সতীশ চন্দ্র রায়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ সম্পাদক এম এ করিম, হাসিবুর রহমান, আনিসুর রহমান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, যুবলীগ নেতা বদিউজ্জামান প্রমুখ।

সুরঞ্জিত সেন বলেন, খালেদার মন থাকে পাকিস্তানে। তার স্বামী যেভাবে হোক মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। খালেদাকে বার বার বলা সত্ত্বেও তিনি ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট ছাড়েননি।

‘আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের অংশীদার মিত্র বাহিনীর অন্যতম নায়ক জেনারেল জ্যাকব পরলোকগমন করেছেন। তার মৃত্যুতে খালেদা জিয়া শোক না জানিয়ে পাকিস্তানের জেনারেল জানজুয়ার মৃত্যুতে শোক পাঠিয়েছেন। এ থেকেই বোঝা তার মন কোথায় থাকে?’- যোগ করেন সুরঞ্জিত।

জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বিশ্ববাসী ভূয়সী প্রশংসা করেছে। কিন্তু খালেদা জিয়ার তা চোখে পড়ে না। আমাদের জিডিপি এখন ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ, অচিরেই তা ছয়ে পৌঁছাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় সতীশ চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়া কখনও পাকিস্তানকে ছাড়তে পারবেন না। কেননা, মুক্তিযুদ্ধের সময় সেনানিবাসে থেকে পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়ে এসেছেন তিনি। জামায়াতও ছিল পাকিস্তানের সমর্থক। খালেদা জিয়া তাই জামায়াতকে দোসর বানিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।

এম এ করিম বলেন, ভারতের সার্বিক সহযোগিতায় আমাদের স্বাধীনতা দ্রুত অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। আমাদের পাশে ছিল রাশিয়া। তাই অনেক দেশের রক্তচক্ষু সত্ত্বেও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ থেকে কেউ বিচ্যুত করতে পারেনি।    

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬/ আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা,
এসএস/টিআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।