ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে ক্যান্টমেন্টের বাড়ি থেকে বের করা হবে: মতিয়া

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১০
আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে ক্যান্টমেন্টের বাড়ি থেকে বের করা হবে: মতিয়া

ঢাকা: বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়িতে বসে এবং তার ছেলে তারেক রহমান লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, সাধারণ মানুষ যেখানে থাকার জায়গা পায় না সেখানে ক্যান্টনমেন্টে বসে ষড়যন্ত্র করবেন এটা হতে পারে না।

আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে এ বাড়ি থেকে বের করা হবে। সরকার আইনের পথে এগুচ্ছে, আইনই ঠিক করবে তিনি কোথায় থাকবেন।

তিনি বলেন, বিডিআর-এর ঘটনা, লঞ্চডুবি, গার্মেন্টস শ্রমিকদের অসন্তোষ কেন, এগুলো কিসের আলামত। দেশের অর্থনীতি যাতে দাঁড়াতে না পারে, নৈরাজ্যের অজুহাতে গণতন্ত্র বিরোধী চক্রের শক্তি যাতে যাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে এগুলো তারই আলামত।
 
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার যুব মহিলা লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মতিয়া চৌধুরী। বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় মতিয়া চৌধুরী আরো বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের ভাঙা সুটকেস ছেঁড়া গেঞ্জি থেকে একে একে সম্পদ বের হচ্ছে। ক্যান্টমেন্টের জমি, গুলশানের জমি, উত্তরার জমি এখন আবার সাভারের আশুলিয়ায় জমি বের হয়েছে। ’

ক্ষমতায় থেকে খালেদা জিয়া দুর্নীতি করে কালো টাকা জমান বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের পর ঠেলায় পরে জরিমানা দিয়েছেন। লজ্জা থাকলে নাকে খত দিতেন। জরিমানা দিয়েছেন এর প্রমাণও আছে এর পরেও লম্বা লম্বা কথা। ’

তিনি বলেন, ‘দুই ছেলে দিয়ে লুটটাট করিয়েছেন। বড় ছেলে গডফাদার সেজে লুটপাট আর ষড়যন্ত্র করেছে। শেখ হাসিনার উপর গ্রেণেড হামালার ষড়যন্ত্রের নেতৃত্ব দিয়েছে। এখন লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করছে। ’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘আমাদের সামনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বড় চ্যালেঞ্জ। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে না পারলে দেশ ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদের আখড়া হয়ে যাবে। যত বাঁধাই আসুক, ষড়যন্ত্র হোক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ থেকে আমাদের কেউ সরাতে পারবে না। ’

আলোচনা সভায় আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘৩৪ বছর পর বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার এবং ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। যারা বিদেশে পালিয়ে আছে তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কাজ করছে। আমরা আশা করছে পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে পারবো। ’

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বাধাগ্রস্থ করার ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যতই ষড়যন্ত্র হোক.. বিচার হবেই। এই বছরের মধ্যে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। যারা এখনো ধরা পড়েনি তাদেরও গ্রেফতার করা হবে। ’

বাংলাদেশ সময় ২০.০০, আগস্ট ৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।