ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মির্জা ফখরুলকে আরও কাঁদতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৬
মির্জা ফখরুলকে আরও কাঁদতে হবে

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আরও কাঁদতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে বিআইডব্লিইটিসি ভবনে বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন আয়োজিত ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূল’ শীর্ষক আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কামরুল বলেন, ফখরুল ইসলাম দীর্ঘ ১২ বছর পর গ্রেনেড হামলাকে একটি কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। পরে হলেও তিনি গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে কাঁদার জন্য আমারও খারাপ লাগে। ফখরুলকে আরও কাঁদতে হবে। এ কাঁদার শুরু হলো মাত্র, শেষ হতে অনেক বাকি। কিন্তু কিছুই করার নেই। তিনি এমন একটি দলের নেতা যে দল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া কিছুই জানে না।

তিনি বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তারা এখন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাদ দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের রাজনীতি করছেন। কেননা জামায়াতের গর্ভেই বিএনপির জন্ম। তাই তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া শান্তির কর্মকাণ্ড কখনো করতে পারবেন না। কেননা জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি নেতা খালেদা জিয়া এখনো বৈঠক করেন।

পরাজয়ের গ্লানি সইতে না পেরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ’৭১ এর ঘাতকরা পরাজয়ের গ্লানি সইতে না পেরে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নৃশংসভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে। আর এ হত্যার মাধ্যমে তারা ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় অধ্যার জন্ম দেয়।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেষ্টা করেছেন। শুধু তাই নয়, গোলাম আজমকে দেশে ফিরিয়ে এনে তিনি বড় পদে আসন দেন। আর এতে কি স্পষ্ট নয় তিনি স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন? শুধু তাই নয় জঙ্গিবাদের বীজ বপন করা হয়েছে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে। আর এখন সেই জঙ্গিরা দেশে হামলা করে শেখ হাসিনার অর্জকে ম্লান করতে চায়। কিন্তু সেই আশা কখনো পূরণ হবে না।

আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি মো. মহসিন ভূঁইয়া, বিআইডব্লিইটিসির চেয়ারম্যান মো.মিজানুর রহমানসহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ২৪ আগস্ট ২০১৬
এসজে/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।