ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সুন্দরবন ধ্বংসের জন্য বিচারের সম্মুখীন হতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৬
সুন্দরবন ধ্বংসের জন্য বিচারের সম্মুখীন হতে হবে ছবি: শাকিল আহমেদ/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে সুন্দরবন ধ্বংসের দায়ে ১শ’ বছর পরে হলেও সংশ্লিষ্টরা বিচারের সম্মুখীন হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যপক ড. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

শুক্রবার (০৭ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর হোটেল ফার্স-এ আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করে শত নাগরিক নামে একটি সংগঠন।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের ক্ষতি হবে- এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুব ভালো করেই জানেন। কিন্তু ক্ষমতায় থাকলে নেতা-নেত্রীর আশপাশে যারা থাকেন, তাদের কাছ থেকে সুপরামর্শ পাওয়া বড় কঠিন হয়ে যায়। তাদের খুব বেশি কানকথা শুনতে হয়। ফলে সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।

শত বছর পরেও কিন্তু বিচার হয়- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বহু বছর পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে। আজ যারা সুন্দরবন ধ্বংস করছে, পরবর্তীতে তাদেরও বিচারের সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে। তখন না আবার জনগণের কাছে করোজোড়ে ক্ষমা চাইতে হয়- সুন্দরবন ধ্বংস করে আমরা অন্যায় করেছি, আমাদের ক্ষমা করে দিন। অনেক সময় আবার সে সুযোগও পাওয়া যায় না।

বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবন সংলগ্ন রামপালে না হয়ে অন্য কোথাও হোক- এমন মতামত ব্যক্ত করে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের যে অংশে সুন্দরবন আছে, সেখানে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হয়নি। শ্রীলংকায় প্রকল্প বাস্তবায়নের মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাহলে বাংলাদেশের সুন্দরবনে কেন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে? –এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে শুনতে হবে, সবার বিরোধিতা প্রধামন্ত্রীকে আমলে নিতে হবে।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী আরও বলেন, যে দেশ যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে, সে দেশে এ রকম একটা জনিবিরোধী ধ্বংসাত্মক প্রকল্প সরকার বাস্তবায়ন কেন করবে? সব মতকে উপেক্ষা করে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের নেপথ্যে কী আছে, তা আমাদের পলিটিক্যালি ভাবতে হবে।

শত নাগরিকের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আ ন হ আখতার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, সুন্দরবন রক্ষা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেখ ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী মো. আশরাফ উদ্দিন ও সঞ্চালনা করেন শত নাগরিকের সদস্য সচিব আব্দুল হাই সিকদার।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৬
এজেড/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।