ঢাকা: পাঠ্য পুস্তক থেকে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নাম তুলে দেওয়া ঘৃণ্যতার পরিচয় বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মানবতা ও মওলানা ভাসানী’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় স্মরণ মঞ্চ।
তিনি বলেছেন, মওলানা ভাসানী মানুষের কথা বলতেন। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান ইতিহাসে লেখা রয়েছে। আজ পাঠ্য পুস্তক থেকে ভাসানীর নাম তুলে দেওয়ার চেষ্টা কতখানি ঘৃণ্যতার পরিচয় তা বলে বোঝানো যাবে না।
তিনি আরো বলেন, রং দিয়ে যতই ঘষাঘষি করা হোক না কেন ইতিহাস ভুলবে না বাঙালি জাতি।
সত্যিকারের ইতিহাস মনে ধারন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত অর্থে আমরা স্মরণ করছি কিনা তা চিন্তার বিষয়। যদি বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করি তাহলে আমার মাকেও স্মরণ করতে হবে যিনি ছিলেন তিনজন মুক্তিযোদ্ধার মা। তাকে তো আমরা স্মরণ করি না!
তিনি বলেন, বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বুদ্ধীজীবী দিবস ছিলো, সারা ঢাকা শহরের কোথাও তো কোনো বুদ্ধিজীবীর ছবি বা বিলবোর্ড দেখা যায় নি।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিষয়ে তিনি বলেন, শুধু ফারাক্কা বাধ নয় ভারত আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই ঠকায়। আজ ভারতের একজন যোদ্ধাকে যদি পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয় তাহলে বাংলাদেশের একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া উচিত। অথচ মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার মাথা কিনে নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মী হলো পুলিশ। কোথায় টাকা আছে তা তারা ভালো করেই বোঝেন। কিন্তু এসবের জবাব একদিন দিতে হবে।
জাতীয় স্মরণ মঞ্চ সংগঠনের সভাপতি মনিরুজ্জামান দেওয়ানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নাজমুল হক নান্নু, ন্যাপ মহাসচিব এস গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
জেডএফ/বিএস