ঢাকা, শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আদালতে খালেদা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৬
আদালতে খালেদা আদালতে খালেদা। ছবি: জিএম মুজিবুর

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থনে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে হাজির হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও হাজিরা দিয়েছেন তিনি।

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থনে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে হাজির হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও হাজিরা দিয়েছেন তিনি।

 

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে হাজির হন তিনি।   এর আগে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওই দুই দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে এ আদালতে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা দু’টির প্রধান আসামি খালেদা জিয়া।

চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়ার ৩৪২ ধারায় অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য রয়েছে বৃহস্পতিবার। গত ০১ ডিসেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে শুরু করেন তিনি। তবে এরপরের দুই ধার্য দিনে আবেদন জানিয়ে এক সপ্তাহ করে সময় বাড়িয়ে নেন। সর্বশেষ গত ১৫ ডিসেম্বর অনুপস্থিত থাকায় ২২ ডিসেম্বর খালেদাকে হাজির থাকার নির্দেশ দেন আদালত। অন্যথায় তার জামিন বাতিল হবে বলেও জানানো হয়।

অন্যদিকে অরফানেজ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদকে আসামিপক্ষের জেরার কথা রয়েছে।


চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

অন্যদিকে অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকিরা জামিনে আছেন।

দুই মামলার জামিনে থাকা আসামিরা আদালতে হাজির হয়েছেন।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

অন্যদিকে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৬
এজেড/বিএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।