ঢাকা: পুলিশের উপস্থিতিতে তাঁতীলীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় দফায় দফায় হট্টগোল আর মারমারির ঘটনা ঘটেছে। এতে সংগঠনের এক গ্রুপ অপর গ্রুপকে ধাওয়া দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে তাড়িয়ে দেয়।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।
বিকেল তিনটায় অনুষ্ঠান শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই শুরু হয় হট্টগোল। এরপর হাতাহাতি এবং পরে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা প্রতিপক্ষকে কিলঘুষি মারেন। অঘাতপ্রাপ্ত কয়েকজনকে দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল ছাড়তে দেখা যায়। মাইক্রোফোন ধরে একে অপরের দিকে ছুড়ে মারেন তাঁতীলীগের কর্মীরা। তারা মিলনাতয়নের পর্দা টেনে ছিঁড়ে ফেলেন। একে অপরকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করেন।
এ সময় ডিআরইউর নিচে থাকা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে এসে পুলিশে খবর দেন। পরে রমনা থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
কিন্তু দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা এতটাই উত্তেজিত ছিলেন যে পুলিশের বাঁশির ফুৎকারও কোনো কাজে আসেনি। ডিআরইউর কর্মকর্তারা তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন। যাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা শুরু হয় তিনি বেরিয়ে গেলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
পরে আবারও কোরআন তেলায়াওতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরুর ১০ মিনিট পর তাঁতীলীগের ময়মনংসিংহ জেলা কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেনের অনুসারীরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এতে আবারো উভয় গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং হাতাহাতি শুরু হয়। ফের ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। পরে ডিআরইউর কর্মকর্তারা সাধনা দাসকে ডেকে সতর্ক করলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
পরে জানা যায়, যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত তাঁতীলীগের ময়মনংসিংহ জেলা কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন আলোচনা সভায় যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর কমিটির নেতাকর্মীরা তাকেসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করে।
এ সময় পুরো মিলনায়তন জুড়ে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। আর হট্টগোলের মধ্যেই সংগঠনের মহানগর কমিটির এক নেতা বক্তব্য দিতে থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
এমএন/এমজেএফ