বুধবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এলডিপি ছাড়ার ঘোষণা দেন মামদুদুর। তবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ তার কোনো পদত্যাগপত্র পায়নি বলে জানিয়েছে এলডিপি’র দপ্তর।
এদিকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মামদুদুর রহমান চৌধুরীর এ পদত্যাগ এলডিপির রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম।
সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে তিনি বলেন, “শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে মামদুদুর রহমান চৌধুরী দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে দূরে ছিলেন। কোনো কর্মসূচিতেই তার উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি বা ভূমিকা ছিল না। সুতরাং তার এই চলে যাওয়া দলের উপর খুব একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। ”
অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে মামদুদুর রহমান বলেন, “দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলের একজন নেতা হিসেবে নিজের অপারগতাকে স্বীকার করে এলডিপি থেকে পদত্যাগ করলাম। ”
তিনি বলেন, “দেশে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অথচ রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। বিরোধী দলগুলোর অগণতান্ত্রিক আচরণও জনগণকে বারবার আশাহত করছে। তাই এলডিপির গঠনতন্ত্রের ৬ (৪) ধারা অনুযায়ী সাধারণ সদস্য পদ ও প্রেসিডিয়াম পদসহ দলের সকল পর্যায় থেকে পদত্যাগ করছি। ”
এই পদত্যাগ দেশের সকল রাজনৈতিক নেতার কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে মন্তব্য করে মামদুদুর রহমান চৌধুরী বলেন, “নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ দাবি করছি না। কারণ, এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে যে কথা জনগণকে দিয়েছিলাম তা রাখতে পারিনি। ”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বিএনপিতে ফিরে যাব কি না? অথবা নতুন দল গঠন করবো কি না? সে প্রশ্নের উত্তর দিতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে।
তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, নতুন দল গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মামদুদুর রহমান চৌধুরী। আগামী শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন দলের নাম ঘোষণা করতে পারেন তিনি।
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন মামদুদুর রহমান চৌধুরী। ওই সময় তিনি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। এরশাদের পতনের পর বিএনপিতে যোগ দেন মামদুদুর। এরপর ওয়ান ইলেভেনের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপি ছেড়ে ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন এলডিপিতে যোগ দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৭/আপডেট ২০৫৩ ঘণ্টা
জেডএফ/এজেড/এসআর/আরআই/এইচএ/