তিনি ওই শিক্ষককে বলেছেন, “আপনি সাইড টক করছেন কেন? আপনি সুশীল সমাজের লোক, গিয়ে টক শো করেন’। ”
শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে।
অপদস্থ হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান নিজেই বাংলানিউজকে এ কথা জানান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বাংলানিউজকে জানান, তানজীম উদ্দিন খান দুপুরে আইবিএ ক্যান্টিনে খাবার খাচ্ছিলেন। এমন সময় ৬-৭ জন কর্মী নিয়ে ক্যান্টিনে ঢোকেন মনির হোসাইন। সেসময় ক্যান্টিনে ভিড় থাকায় খাবার দিতে কিছুটা দেরি হয়। এতে ক্যান্টিনের কর্মচারীদের ওপর চড়াও হন মনির ও তার সঙ্গীরা। এসময় অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন তিনি। এ অবস্থায় শিক্ষক তানজীম নিজের পরিচয় দিয়ে মনিরকে গালিগালাজ না করে সুন্দরভাবে কথা বলার পরামর্শ দেন। এতে মনির শিক্ষকের ওপরও চড়াও হন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান বাংলানিউজকে বলেন, “ওই ছেলে ক্যান্টিন বয়দের নোংরা ভাষায় অকথ্য গালি দিতে শুরু করলে আমি নিজের পরিচয় দিয়ে সুন্দর ভাষায় কথা বলতে বলি। এতেই সে আমার ওপর চড়াও হয়। ”
যোগাযোগ করা হলে ঘটনাটিকে ভুল বোঝাবুঝি দাবি করে অভিযুক্ত মনির বাংলানিউজকে বলেন, স্যারের সঙ্গে কোনো ঝামেলা নেই। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ক্যান্টিন বয়ের খাবার দিতে দেরি করায় তার সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে। ”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, “শিক্ষকের সঙ্গে মনিরের তর্কাতর্কি হয়েছে। পরে আমি স্যারের কাছে বলেছি, সে বিষয়টি বুঝতে পারেননি। ”
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৭
এসকেবি/এইচএ/