এর ফলে ওই আসনের উপনির্বাচনে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইনজীবী ব্যারিস্টার ড. মুহাম্মদ ইয়াসিন খান।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে কাদের সিদ্দিকীর আপিলের এ রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ।
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চে আপিল শুনানি শুরু করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। পরে সর্বোচ্চ আদালত শুনানি মুলতবি করে বলেন, কতোজন বিচারপতি এ আপিলের শুনানি গ্রহণ করবেন তা পরে ঠিক করা হবে। সে অনুসারে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) আপিলটি কার্যতালিকায় ওঠে এবং বুধবার সকল বিচারপতি (পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ) আপিলের শুনানি গ্রহণ করবেন বলে আদেশ দেন।
টাঙ্গাইল-৪ আসনে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। ২০১৫ সালের ০১ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ০৩ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়।
পরে একই বছরের ১০ নভেম্বর টাঙ্গাইল-৪ আসনে উপনির্বাচনের দিন ধার্য করেছিল নির্বাচন কমিশন।
অন্য দলের পাশাপাশি এতে কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
কিন্তু ঋণখেলাপের অভিযোগে ওই বছরের ১৩ অক্টোবর রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
আপিলের পর ১৮ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন কাদের সিদ্দিকীর আপিল খারিজ করে তার মনোনয়নপত্র বাতিলের চূড়ান্ত রায় দেন।
এরপর নির্বাচন কমিশনের বাতিল আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কাদের সিদ্দিকী। গত বছরের ০৪ ফেব্রুয়ারি কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বৈধ নয় বলে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
এর বিরুদ্ধে কাদের সিদ্দিকী লিভ টু আপিল করলে(আপিলের অনুমতি) ১৫ মার্চ তা মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ।
২০১৪ সালের টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর) আসনের উপনির্বাচনেও প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। সে সময়ও ঋণখেলাপের অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
ইএস/এএসআর