বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে রায় ঘোষণার পর লক্ষ্মীপুর-রায়পুর-বেগমগঞ্জে সড়ক ও লক্ষ্মীপুর শহরের ঝুমুর, মাদাম ও মহিলা কলেজ এলাকায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ করেন তারা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
২০১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাতে লক্ষ্মীপুর শহরের আলিয়া মাদ্রাসা এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল আলমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনার পরদিন আশরাফুলের বাবা অ্যাডভোকেট মো. বদরুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার দুপুর ১টার দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেন লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী।
এদের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব হোসেন লোটাস, সহ-সভাপতি কেএম বাপ্পি কবির ও যুবলীগ নেতা এহতেশাম হায়দার বাপ্পিকে পাঁচ বছর করে, ছাত্রলীগ নেতা মো. জুয়েল, সজিব, মিরাজকে এক বছর করে এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল, ছাত্রলীগ নেতা মানিক, রকি, রুপমকে এক মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় দু’জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
এজি/এসআই