ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘কারাগার থেকে দেখবো- সেই নির্বাচন হবে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৮ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
‘কারাগার থেকে দেখবো- সেই নির্বাচন হবে না’

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ বাইরে থেকে মহা আনন্দে নির্বাচন করবে আর আমরা (বিএনপি) কারাগারের ভেতরে অথবা আদালতের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখবো- সেই নির্বাচন এ দেশে হবে না’।

সোমবার (২৯ মে) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে  আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।


 
নৌকা প্রতীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভোট চাওয়ার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। সেটি না করে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এখনই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। হেলিকপ্টারে করে যাচ্ছেন। সেখানে সরকারি কর্মকর্তারা লোকজন নিয়ে আসছেন, তিনি নৌকায় ভোট চাইছেন’।
 
‘এদিকে বিএনপি কোনো মিটিং, সভা-সমাবেশ করতে পারছে না। এ অবস্থা চলবে না। সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে। খালেদা জিয়াসহ বিএনপির যেসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন, সেই মামলা প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে, মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তাহলেই শুধুমাত্র নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে’- বলেন মির্জা ফখরুল।
 
তিনি বলেন, বিএনপি অবশ্যই নির্বাচন চায়। তবে সব দলের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে একটি অর্থবহ নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচনে নিজের ভোট যেন নিজে দিতে পারি, অন্য কেউ যেন দিয়ে না দেয়- তা নিশ্চিত করতে হবে। একটি অর্থবহ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে’।
 
ফখরুল বলেন, ‘অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু হয় না। সেজন্যই দরকার নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার’।
 
বর্তমান সরকার চতুরতার সঙ্গে মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে ধ্বংস করে ফেলেছে। তারা সবার আগে আঘাত করেছে রাজনীতি ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোয়। বাকশাল না করে নতুন মোড়ক পরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্রের নামে সেই একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিয়েছে’।
 
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানির সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর বিএনপির (উত্তর) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জু, ঢাকা মহানগর বিএনপির (দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এজেড/আরআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।