নির্বাচনের সময় যতো ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীর সংখ্যাও দীর্ঘ হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা পোষ্টারিং ও গণসংয়োগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় এক নম্বরে রয়েছেন।
ইতোমধ্যে তিনি প্রকাশ্য সমাবেশে নীলফামারী-৪ আসনে মনোনয়ন চাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া সৈয়দপুর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী সিকান্দার আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বাদল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির অন্যতম সদস্য আমেনা কোহিনুর আলম, কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেন, আওয়ামী লীগের সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিষ্টার মোখছেদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর আইনজীবী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম (আমির) প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন।
এদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার, জেলা বিএনপি সৈয়দপুরের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল গফুর সরকার, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা বিলকিস ইসলাম, দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ও জাসাস নেত্রী বেবী নাজনীন। বেবী নাজনীন ঈদুল ফিতর থেকে নির্বাচনী এলাকায় ডিজিটাল ব্যানার টাঙ্গিয়ে দোয়া কামনা করেছেন।
জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সক্রিয় রয়েছেন বর্তমান এমপি ও নীলফামারী জেলা জাপার আহ্বায়ক আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী, জাপা নেতা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি জাফর ইকবাল সিদ্দিকী। জাফর ইকবাল সিদ্দিকী এর আগে নীলফামারী-১ আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন জাপা থেকে। এই তিন দল থেকে মোট ১১ জন গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে কোরবানির ঈদে আরও নতুন মুখকে প্রার্থী তালিকায় দেখা যেতে পারে বলে গুঞ্জন চলছে। ফলে এ তালিকা আরো দীর্ঘ হতে পারে বলে সচেতনমহল মনে করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৭
বিএস