শনিবার (১২ আগষ্ট) নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার একের পর এক সমস্যা সৃষ্টি করেই চলেছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেছেন আওয়ামী লীগের এতো গাত্রদাহ কেন? দেশনেত্রী নড়াচড়া করলে দেশের জনগণ নড়েচড়ে ওঠে। তিনি যেখানে যান লাখ লাখ জনগণ তার কাছে যায়। দেশনেত্রী সমাবেশ করলে আওয়ামী লীগের প্রতিরোধের মুখেও লাখো জনতার ঢল নামে। তাদের গাত্রদাহের কারণ হলো, 'এতো অত্যাচার নির্যাতন করেছি, এতো মিথ্যা মামলা দিয়েছি তাদের কোনো ভাবেই ধমানো যাচ্ছে না'। লন্ডন যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে নেত্রীকে বিদায় জানাতে জনগণের ঢল নেমেছিলো। এটাও তাদের কাছে ভালো লাগেনি।
ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে তিনি বলেন, আমরা আগেই বলেছি সুপ্রিমকোর্ট যে রায় দিয়েছেন তা ইতিহাসের যুগান্তকারী রায়। বাংলাদের পরিস্থিতি অনুযায়ী এমন দিক নির্দেশনামূলক রায় আগে কখনো হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।
সুপ্রিমকোর্ট বুঝতে পেরেছেন যে, এখন তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। দেশ আজ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। এই সংকট উত্তরণে অভিভাবক হিসেবে আজ তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন হবে না।
আজকে যখন সুপ্রিমকোর্ট বর্তমান সরকারের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন তখন তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে।
আলোচনায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আল্লাহর ইচ্ছায় খালেদার চোখের সফল অস্ত্রপচার সম্পন্ন হয়েছে। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। আজকে যারা অপ্রপ্রচার করছে তাদের অ্যাকাউন্টেবিলিটি নেই। জবাবদিহিতা না আছে দেশের জনগণের কাছে না আছে আল্লাহর কাছে।
বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যখন বলবেন ষড়যন্ত্র হচ্ছে তখন বুঝবেন এটা বিএনপির বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র। আপনারা সতর্ক থাকবেন এই সরকার যেন নতুন কোনো ঘটনা ঘটিয়ে মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে না পারে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরবের সভাপতিত্বে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মুমতাজুল আলম বদরু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, আগষ্ট ১২,২০১৭
এএম/বিএস