ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সুপ্রিমকোর্টের রায়ই চূড়ান্ত: বদরুদ্দোজা চৌধুরী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
সুপ্রিমকোর্টের রায়ই চূড়ান্ত: বদরুদ্দোজা চৌধুরী সুপ্রিমকোর্টের রায়ই চূড়ান্ত/ছবি: রানা

ঢাকা: সংবিধান সুপ্রিম কোর্টকে একটি অধিকার দিয়েছে, সংবিধান সম্পর্কে সুপ্রিমকোর্ট যা বলবে সেটাই চূড়ান্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। 

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত 'ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়: অনাকাঙ্খিত বিতর্ক ও বাংলাদেশের রাজনীতি' শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, রায় হিসেবে সুপ্রিমকোর্ট যেটা দিয়েছে ৭ জন বিচারপতির একমতের ভিত্তিতে সেটা মেনে নিতে হবে। কারণ সংবিধান তো আর ইচ্ছামত পরিবর্তন করা যাবে না। সুতরাং এটা না মেনে উপায় নেই। সংসদে সব বিষয়ে কথা বলা যাবে। কিন্তু সংসদ সদস্যদের ভদ্রতা বজায় রেখে নিজের আত্মপরিচয় বজায় রেখে কথা বলতে হবে। রায়ের পর ঝড়ের মত যে বক্তব্যগুলো আসছে তা আদালত অবমাননা কিনা তা বিবেচনা করতে হবে।

সুপ্রিমকোর্ট অত্যন্ত সাহসী রায় দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, সুপ্রিমকোর্ট সাহসের সঙ্গে সত্যনিষ্ঠ রায় দিয়েছে। আমরা কাউকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করব না। কারণ যারা বিচারক তাদের প্রভাবিত করা বিবেক সম্মত নয় এবং নীতিমালা বিরুদ্ধ। সরকার যেভাবে সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে লড়াইয়ের মত পরিস্থিতিতে জড়িয়ে পড়ছে, তা অভিপ্রেত নয়। সরকার একদিকে সংসদ একদিকে, এই দুই শক্তি মিলে অপর শক্তি বিচার বিভাগের সঙ্গে যে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ছে তা ভালো লক্ষণ নয়। নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারকরা যে রায় দিয়েছে তারা তা অস্বীকার করাতে পারে না। সরকারের উচিৎ হবে ভদ্রভাবে সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়া সুপ্রিমকোর্টের এই রায় মেনে নেওয়া।

জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং জেএসডি ও বিকল্পধারার অন্য নেতারা।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপিকে একতন্ত্র না হোক পরিবারতন্ত্র ছাড়তে হবে, পরিবারতন্ত্র ছাড়তে হলে বিএনপিকে তিনজনের ছবি থেকে তারেক রহমানের ছবি মুছে ফেলতে হবে। তারেক রহমানের ছবির জায়গায় যদি মাওলানা ভাসানীর ছবি দেওয়া হয় তাহলে এ দেশের রাজনীতি আরো দ্রুত অগ্রগতি হবে।  

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে স্বপ্রণোধিত হয়ে মামালা করা যায় কিনা তা আদালতকে ভাবতে হবে। তিনি অনেক সরকারি কাজে অনিয়ম করেছেন।

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে তিনি বলেন, এই রায়ে বিচারকরা তাদের বিবেকের তাড়নায় সাহস দেখিয়েছেন। এজন্য তাদের ধন্যবাদ। কিন্ত জনগণকে সুশাসন না দিলে এই রায়ে দেশবাসী উপকৃত হবে না। তাই সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বিচারকদের আরো কিছু কাজ করা দরকার।

তিনি আরোও বলেন, আজকে যদি বঙ্গবন্ধু বেচে থাকতো তাহলে তিনি কখনোই বলতেন না যে তিনি একাই দেশ স্বাধীন করেছেন। তিনি বলতেন, আমরা সবাই মিলে দেশ স্বাধীন করেছি। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো আমি জেলে যাওয়ার পরও তোরা সাহস হারাসনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
এমএএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।