ওরা আমাদের খালি দোষারোপ করে। আমরা তো খালি হাতে আসেনি।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকাল ১১টায় সৈয়দপুর স্টেডিয়ামের কাছে বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় সেখানে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক পথসভায় অওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা লোক দেখানো ফটোসেশনের জন্য দুর্গত এলাকায় আসিনি। বন্যায় সত্যিকার অর্থে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শেখ হাসিনার সরকার তাদের সবাইকেই পুনর্বাসন করবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, মৌনতাই সম্মতির লক্ষণ। সুগ্রিম কোর্টের রায়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলকে অবৈধ বলা হলেও তিনি এ ব্যাপারে প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া জানাননি। এজন্য তাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি।
বন্যার ভয়াবহতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, স্মরণকালের নজিরবিহীন বন্যায় আমাদের বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পর অনেকেই এসেছেন দুর্গত এলাকায়। তারা ভাষণ দিয়েছেন তালি পাওয়ার আশায়। কিন্তু তাদের হাত ছিল খালি। বন্যার্তরা কিছুই পায়নি।
এসময় তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে পুনর্বাসন করা পর্যন্ত তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী সতীশ চন্দ্র, সংসদ সদস্য নাজমুল হক, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্বাস আলী সরকার, সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বাদল, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ রহীম, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বজলুর রশীদ প্রমুখ। পরে মন্ত্রী বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
এসআই