তিনি বলেন, এই পরিকল্পনা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর সঙ্গে বিএনপি জড়িত ছিলো।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নির্বাচনের আগে সরকারের সঙ্গে আলোচনার কথা বলছে। সরকারের সঙ্গে বিএনপির আলোচনার প্রয়োজন নেই। আলোচনা করতে হবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। নির্বাচনের সময় সরকারের কোনো ক্ষমতা থাকে না। ক্ষমতা চলে যায় নির্বাচন কমিশনের হাতে। আর যে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে, ১৫ আগস্ট কেক কাটে আওয়ামী লীগের এতো দৈন্যদশা হয়নি যে সেই বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় বসতে চাইলেও আওয়ামী লীগ কর্মীরা বলবে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়।
হাছান মাহমুদ আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। এখন সময়ের দাবি এই হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের বিচার করা। বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম কুশীলব ছিলেন জিয়াউর রহমান। কারণ হত্যাকরীরা বলেছিলো তারা এই হত্যাকাণ্ডের আগে সেনাবাহিনীর তৎকালীন উপ-প্রধান জিয়াউর রহমানের সঙ্গে দুইবার বৈঠক করেছিলো। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তিনি বলেছিলেন রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করা হয়েছে তাই কি হয়েছে। উপ-রাষ্ট্রপতি আছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার জন্য ইনডেমিনিটিকে তিনি আইনে পরিণত করেছিলেন। এতেই প্রমাণ হয় জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার স্ত্রী খালেদা জিয়ারও হয়তো এই হত্যাকাণ্ডের ইন্ধন ছিলো। তাই তিনি ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালন করেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দূর্জয়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
এসকে/বিএস