তিনি বলেন, ঘোষণা এক জিনিস আর কাগজে লিখে দেওয়ার পর পাঠ করা আরেক জিনিস। কাগজে লিখে দিলে খবর পড়া যায়।
রোববার (২০ আগস্ট) বিকেলে সরকারি তিতুমীর কলেজ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনায় সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু হায়দার নাছেরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য একেএম রহমত উল্লাহ, ১৯তম শিক্ষক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ড. নাসিমা বেগম, প্রফেসর আশরাফ হোসেন, তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী মিরাজুল ইসলাম ডলার, সাধারণ সম্পাদক মানিক হোসেন।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এখন অনেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বির্তক করেন। অনেকে বলেন, ১২/১৪ বছরের বাচ্চা কীভাবে মুক্তিযোদ্ধা হয়। তখন ১২ বছরের শিশু মুক্তিযোদ্ধা হতেই পারে, অবশ্যই হতে পারে। আমার কাছে প্রমাণ আছে। তখন এই শিশুরা বাজারের ব্যাগে করে বাঙালি ক্যাম্প থেকে ভারতের ক্যাম্পে গ্রেনেড নিয়ে যেত। তখন যদি সে মারাও যেতে পারতো।
মন্ত্রী বলেন, অনেকেই বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের কথাগুলো অস্বীকার করেন। যারা এসব কথা বলেন তারা ইতিহাসকে অস্বীকার করেন, তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বকেই স্বীকার করেন না। যারা এটা করেন ইতিহাসে তাদের অবস্থান মীর জাফরের মতো হবে।
দলমতের পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে বলে জানান সংস্কৃতি মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, এই উপমহাদেশের রাজনীতি ছিলো আশরাফদের (সম্ভ্রান্ত বংশ) জন্য। আর আমরা আতরাফ রাজাদের পেছনে ঘুরতাম। বঙ্গবন্ধুই প্রথম আতরাফদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা করলে মহাকাব্যে পরিণত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ