সোমবার (২১ আগস্ট) এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানি লিমিটেডকে (গ্যাটকো) ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ০২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে (প্রয়াত) আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে আসামি করে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী।
২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সাবেক ছয় মন্ত্রীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হয়। এর আগে-পরে চার্জশিটভুক্ত আসামি খালেদা জিয়াসহ আসামিদের কয়েকজন ওই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান।
এর মধ্যে ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনের অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে আলাদা দু’টি রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া ও আরাফাত রহমান কোকো। এসব আবেদনের শুনানি নিয়ে খালেদা ও কোকোর বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরে বেশ কয়েক দফায় মামলার কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ বাড়ান।
বেশ কয়েক বছর স্থগিত থাকার পর ২০১৫ সালে মামলা সচল করতে রুল শুনানির দিন ধার্যের আবেদন জানায় দুদক।
রুলের শুনানি শেষে গত বছরের ০৫ আগস্ট মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলবে বলে সংক্ষিপ্ত আকারে চূড়ান্ত রায় দেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়।
মামলাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদার ওই রিট আবেদন ছাড়াও এ সংক্রান্ত রুল খারিজ এবং বিচারিক কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রায়ে বলা হয়, গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম বিচারিক আদালতে চলবে।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে গত বছরের ১০ মে লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।
রোববার (২০ আগস্ট) শুনানি শেষে আদেশের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল ও ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৬
ইএস/এএসআর