বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের মহিষলুটি মাছের আড়ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তবে ধর্ষণের আগ মুহূর্তে নিখোঁজ হওয়া ধর্ষিতার ছোট ভাই নাঈম (১০) বুধবার দুপুর পর্যন্তও উদ্ধার হয়নি।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সাকেয়াদিগি গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মহির উদ্দিন এবং গ্রামের আবু তালেবের ছেলে ও ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ সভাপতি আনিসুর রহমান
আনিস।
তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফজলে আশিক বাংলানিউজকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতা কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে মহির ও আনিসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। বিকেলে নির্যাতিত কিশোরীকে মেডিকেল
পরীক্ষার জন্য সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। তবে তার ছোট ভাই নিখোঁজ হয়েছে দাবি করা হলেও আমরা তাকে এখনও খুঁজে পাইনি।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহিষলুটি-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কের বিদ্যাধর গ্রামের পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে সে অভিযোগ করে। সে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের রানীগ্রামের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার রাতে নির্যাতিতা কিশোরী সাংবাদিকদের জানায়, ৩ দিন আগে ছোট ভাইকে নিয়ে সে তাড়াশের মান্নান নগর এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে আসে। মঙ্গলবার বিকেলে দু’ভাইবোন চলনবিল দেখতে মহিষলুটি আসে। পথে তার দুলাভাইয়ের এক বন্ধু আনিসুর রহমান কৌশলে তাদের ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে বিদ্যাধর এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। সন্ধ্যার পর পরিত্যক্ত ওই বাড়ি থেকে ছোট ভাইকে তারা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আনিসুর ও তার বন্ধু মহির এসে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন আসতে শুরু করলে ওরা পালিয়ে যায় বলে জানান নির্যাতিতা এই কিশোরী।
নওগাঁ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কোরবান আলী জানান, খবর পেয়ে আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে মহিষলুটি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে রেখে থানায় সংবাদ দেই। পরে পুলিশ এসে মেয়েটিকে নিয়ে যায়। তবে তার ভাইকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, ২৩ আগস্ট, ২০১৭
আরএ