বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডের সেতু মার্কেটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত রিয়াজ ওই এলাকার কোরবান আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানায়, গত বছর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী বিভিন্ন সহিংসতা এবং বাজারে (সেতু মার্কেট) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রিয়াজ গ্রুপ ও নিজাম গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে বিভিন্ন সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দু’পক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলাও রয়েছে। এ বিরোধের জের ধরে বুধবার দুপুরে নিজামের লোকজন বাজারে রিয়াজকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। পরে স্থানীয়রা এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
হাতিয়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শাহ মিরাজ বাংলানিউজকে বলেন, রিয়াজ আওয়ামী লীগ সমর্থক। ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী হিসেবে কাজ করতেন বলেও শুনেছি। তবে তিনি কোনো অনুমোদিত কমিটির কোনো পদে ছিলেন না। আমরা এ হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ বাংলানিউজকে জানান, যুবলীগ কর্মী রিয়াজ প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৭
এসআই