আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের জয়নাল আবেদীন নামে একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ জানায়, হাপানিয়া গ্রামে সকালে ঈদুল আজহার নামাজ শেষে বক্তব্য দেয়া নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদ (স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য) ও মহিবুল ইসলাম মন্টুর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ ধারালো অস্ত্র, গুলি, বোমা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২৩ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে একজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার সেলুন সদর হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ খবর নেন। এ সময় তিনি দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। ফের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রোধে ওই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৭
এসআই