সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) গভীররাতে উপজেলার ধানীসাফা ইউনিয়নের তুষখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনের টয়লেটের পাশে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত হাবিবুর রহমান এ ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তুষখালী বাজার থেকে হাবিবুর রহমানকে ধানীসাফা ইউনিয়ন পরিষদের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইদ্রিস তালুকদারের নেতৃত্বে অর্ধশত লোক টানাহেঁচরা করে নিয়ে যান। এরপর থেকে হাবিবুর রহমানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজিরে পর সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে পরিবারের লোকজন তুষখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনে তার মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে রাতে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের ছেলে রাকিব তালুকদার জানান, ফুটবল খেলা নিয়ে ইদ্রিসের ভাই ফারুক তালুকদারের ছেলে সাইফুল তালুকদারের সঙ্গে রাকিবের বড় ভাই হাফিজুর রহমানের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরে রোববার ইদ্রিস ও ফারুক তালুকদারের পরিবারের লোকজন হাবিবুর রহমানকে তুলে নিয়ে হত্যা করেন।
মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন দুলাল এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ধারণা করা হচ্ছে, হাবিবুর রহমানের গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৭
এসআই