রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন।
৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পরেছে। যেভাবেই হোক কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্য দিয়ে তাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে হবে। দরকার হলে প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন দেশে যেতে হবে।
তিনি বলেন, বলা হচ্ছে ভারত ও চীন মিয়ানমারকে সমর্থন দিচ্ছে। তাদের কাছেও যেতে হবে। বোঝাতে হবে বাংলাদেশের সম্যাটা কত ভয়াবহ।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নেওয়া উদ্যোগ স্মরণ করিয়ে দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৭৮ সালে এমনি এক পরিস্থিতিতে জিয়াউর রহমান সময়োপযোগী কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সেখানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক চুক্তিতে সই করেছিলেন। সেখানে উল্লেখ ছিলো এই চুক্তির আলোকে ভবিষ্যতেও মিয়ানমার তার নাগরিকদের ফেরত নিতে বাধ্য থাকবে। বর্তমান বাংলাদেশ সরকার সেদিকেও যাচ্ছে না। তারা ভয় পাচ্ছে।
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বিশ্ব সম্প্রদায়সহ সব বিবেকবান মানুষকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা, কবি আব্দুল হাই সিকদার , ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবুল মালেক, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭
এজেড/এসএইচ