তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সারা বিশ্ব সোচ্চার হলেও বর্তমান সরকার জাতিসংঘসহ প্রভাবশালী প্রতিবেশী দেশগুলোকে পাশে নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গতকাল জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে কিনা তা নিয়ে। চীন, রাশিয়া আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র এমনকি ভারতের সঙ্গেও সরকারের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এরপরও তারা আজ আমাদের পাশে নেই। এর প্রধান কারণ কূটনৈতিক ব্যর্থতা।
সরকার এই জাতীয় সংকটের সুরাহা করতে পারছে না জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানানো হলেও তারা সাড়া না দিয়ে একপক্ষ নীতি অবলম্বন করছে। এই ইস্যুতে সারা বিশ্ব সোচ্চার হলেও বর্তমান সরকারের ভূমিকা নতজানু। তার কারণ হলো, জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে তাদের কোন নৈতিক ভিত্তি নেই।
ওবায়দুল কাদেরের দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বাংলাদেশের জীবনে এমন ভয়াবহ দুঃশাসন ও নাজুক পরিস্থিতি আর কখনও আসেনি। ঠিক এমন ভয়ানক পরিস্থিতিতে গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন 'শেখ হাসিনা বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত, বিশ্ব মানবতার বাতিঘর'।
ওবায়দুল কাদেরের হাস্যকর এমন মন্তব্যে গোটা জাতি লজ্জা পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সারাদেশের মানুষের শান্তি নষ্ট করে অশান্তির বীজ বপন করে কী শান্তির দূত হওয়া যায় কিনা সে প্রশ্ন চারদিকে ঘুরপাক খাচ্ছে। ৭২-৭৫ এ দেশে যখন দুর্ভিক্ষ চলছিল তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পিতাও শান্তির জন্য জুলিওকুরি পুরস্কার পেয়েছিলেন। তখন মানুষ বলতো ‘শেখ সাহেবের মাথায় জুলিওকুরি, আমরা সবাই ভাতে মরি’। রক্তাক্ত দু:শাসনের ওপর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও ওবায়দুল কাদের ঘোষিত ‘শান্তির দূত’ হিসেবে অভিহিত হয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. সানাউল্লাহ মিয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ সহ দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৭
এএম/আরআই