সোমবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কচিকাঁচা মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত রোহিঙ্গাদের উপর আলোকচিত্র ও ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন।
ফখরুল বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তিন তিনবার বৈঠক করার পরেও রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে তারা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।
মিয়ানমারের নেত্রী, যাকে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হিসেবে সারা বিশ্ব গর্ববোধ করতো তার দেশেই আজ এ ঘটনা ঘটছে জানিয়ে বলেন, তিনি (সু চি) এখন ইমপার্টিসেপ হিসেবে ক্ষমতায় রয়েছেন। তিনি টিম পাঠিয়েছেন বাংলাদেশে। সেই টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে 'জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি'র মাধ্যমে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গণমাধ্যমের কাছে খবর এসেছে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে।
‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা সম্মত হয়েছি। জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির কাজ কি হবে আমরা তা নির্ধারণ করবো, মিয়ানমারও তাদের কাজ নির্ধারণ করবে। সম্মত হয়েছে আমাদের সঙ্গে। ’
ফখরুল বলেন, এই এরই মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার ব্যর্থ হয়েছে মানবতার কি নির্মম পরিহাস সেখানে হয়েছে তা বোঝাতে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের উপর, অর্থনীতির উপর, পরিবেশের উপর, সমাজের উপর এর কি বৈরী প্রভাব পড়বে সেটা বোঝাতে পারেনি সরকার।
তিনি বলেন, জাতির উপর যে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে তা মোকাবেলায় একটা জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন ছিল, সেটা এখনও পর্যন্ত সরকার করছে না। তাই অবিলম্বে এই জাতীয় সংকট নিরসনে জাতীয় কনভেনশন ডাকুন। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে সমস্যার সমাধান করুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাসাসের সভাপতি মামুন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান, সা স সানাউল্লাহ হক, সহ সভাপতি হাসান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৭
এএম/এএ