মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের সদর রোডে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এর আগে বেলা ১১টায় নগরের সদররোডের বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা যুবদল।
কুমিল্লায় বাসে পেট্রোল বোমা হামলা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- জেলা যুবদলের সভাপতি পারভেজ আকন বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক এইচএস তসলিম প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে অশ্বিনী কুমার হলের ফটকে গেলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়।
পরে যুবদলের নেতা-কর্মীরা পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে সদররোডে বেরিয়ে পরে। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে কমপক্ষে ৫ নেতাকর্মী আহত হন।
তবে যুবদল সভাপতি পারভেজ আকন বিপ্লব দাবি করেছেন পুলিশের লাঠি পেটায় ৩০ জনের মতো আহত হয়েছেন এবং নেতা-কর্মীদের রক্ষা করতে গিয়ে তিনি নিজেও আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের ওপর পুলিশ এ হামলা চালিয়েছে। তবে দীর্ঘদিন পরে হলেও যুবদলের নেতা-কর্মীরা কোনো মিছিল নিয়ে সদররোডে উঠে পেয়ারারোড পর্যন্ত গিয়েছে।
কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সত্যরঞ্জন জানান, অনুমতি না থাকায় মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়। আর তারা সদররোডে অরাজকতা সৃষ্টির মনোভাব নিয়েই পুলিশের বেরিকেড অতিক্রম করে, তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মৃদু লাঠিচার্জ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
এমএস/বিএস