বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিলেট জেলা শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে সিলেট জেলা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে পদ প্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত সোমবার (১৬ অক্টোবর) জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম .রায়হান চৌধুরী গ্রুপের কর্মীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন ছাত্রলীগ কর্মী ওমর আলী মিয়াদ। নিহত মিয়াদ সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের কর্মী।
এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এম. রায়হান চৌধুরীসহ ১০ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা আকুল মিয়া।
এদিকে, মিয়াদ হত্যাকাণ্ডের পরদিন মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সিলেট জেলা ছাত্রলীগের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ওই টিমকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন কেন্দ্রে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
গঠিত তদন্ত কমিটিতে ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাকসুদ রানা মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নওশাদ উদ্দিন সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলার দায়িত্বে থাকা সৃজন ঘোষ সজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকতুজ্জামান সৈকত এবং উপ সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক রহমতুল্লাহ খান শাকুর।
কমিটির সদস্যরা মাঠ পর্যায়ে খোঁজ খবর নিয়ে যাওয়ার পরপরই জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
এনইউ/আরআই