শনিবার (২১ অক্টোবর) সিলেটের ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সদস্য নবায়ন কর্মসূচির কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি এলাকায় আমরা নজর দিচ্ছি।
সিলেটে দলের নতুন সদস্যভুক্ত ও নবায়নের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, স্বাধীনতাবিরোধী আওয়মী লীগের সদস্য হতে পারবে না। পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের পার্টি অফিসে বসে সদস্য সংগ্রহ না করার আহ্বান জানান। সদস্য সংগ্রহে বাসা-বাড়িতে যাওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সিলেটে এক সপ্তাহের মধ্যে দুটি রক্তাক্ত ঘটনা ঘটেছে। খুনী যত প্রভাবশালী হোন রেহাই নেই। খুনীদের বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। দু’চারজন সন্ত্রাসীর জন্য পার্টির বদনাম হতে পারে না।
তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, খালেদা জিয়া দু’মাসের ছুটি নিয়ে সাড়ে ৩ মাস পরে এলেন। সংবর্ধনার নামে রাজপথ কাঁপিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ সৃষ্টি করলেন। অথচ আমরাও আমাদের নেত্রীকে সংবর্ধনা দিয়েছি। সেখানে কেউ রাস্তায় আসেনি। ক্ষমতাসীন দল হয়েও আমরা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করিনি।
তিনি বলেন, সিইসির এক বক্তব্য শুনে বিএনপি খুব খুশি। যখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সিইসির সংলাপ ও বক্তব্য, তখন তাদের মুখে মেঘ। আমাদেরকে নাকি একশ’ বছরেও ক্ষমতায় আসতে দেবে না। বিদেশি একটি পত্রিকা উল্লেখ করেছে, শেখ হাসিনা পৃথিবীর দীর্ঘ সময়ের নারী শাসক। অথচ বিএনপি আমাদের নেত্রীকে দুনিয়া থেকে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল।
কাদের বলেন, বাংলার মাটিতে ভাগ্য নির্ধারণ করবে এ দেশের জনগণ ও আল্লাহ। বিদেশে বসে নীল নকশা করলে হবে না। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা সংকট সাহস নিয়ে মোকাবিলা করেছেন শেখ হাসিনা, আশ্রয় দিয়েছেন, খাদ্য দিয়েছেন। বিএনপি মনে করেছিল-রোহিঙ্গা সংকট শেখ হাসিনাকে বিপদে ফেলবে!
পদ্মাসেতু সম্পর্কে মন্ত্রীর নাম জড়িয়ে স্লোগান দেওয়ায় নেতাকর্মীদের তিনি বলেন,আমাকে খুশি করার জন্য চামচামি করবেন না। এটা শেখ হাসিনার অবদান। শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, আমি কাজ করেছি মাত্র। এখানে আমার কোনো কৃতিত্ব নেই।
তিনি বলেন, সিলেটের প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স জাতীয় অর্থনীতির প্রাণ। সড়কপথে সিলেটে এসে খুব কষ্ট পেয়েছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যবহার অনুপযোগী রাস্তাগুলো এ মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে সংস্কারে প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশকে ভালবাসার তাগিদ দিয়ে প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ৯টা-৫টা অফিস করলে হবে না, মানুষের দুর্ভোগ হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হবে। মাতৃভূমিকে ভালবাসতে হবে।
তিনি বলেন, সিলেটের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সিলেটের সব উন্নয়ন হবে। চায়না হারবাল কোম্পানির সঙ্গে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কারণে চুক্তিতে দেরি হচ্ছে। আর তা না হলে আওয়ামী লীগের টাকায় পদ্মা সেতু হতে পারলে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কও হবে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে এবং জেলার সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ এবং কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
এনইউ/আরআর