ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে খালেদার আপিল শুনানি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে খালেদার আপিল শুনানি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (ফাইল ফটো)

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১১ সাক্ষীর পুন:জেরার আবেদনের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল আবেদন পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির আদালত। একইসঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) এ আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত।

রোববার (২২ অক্টোবর) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ৯ সাক্ষীকে জেরা চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার  করার আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আরও দুই সাক্ষীর পুন:জেরার প্রয়োজন নেই বলেও আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে জাকির হোসেন বলেন, ১১ সাক্ষীর বিষয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন গত ২৭ জুলাই নাকচ করে দেন বিচারিক আদালত। পরে ২ সাক্ষীর পুনরায় জেরা এবং ৯ সাক্ষীর মূল জেরা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়। হাইকোর্ট ২ সাক্ষীর পুনরায় জেরার প্রয়োজন নেই বলে আদেশ দেন। তবে ৯ জনের বিষয়ে তারেক রহমানের ক্ষেত্রে যে জেরা করা হয়েছে, ওই জেরাই খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে বলেছেন আদালত।

খুরশীদ আলম খান বলেন, ৯ সাক্ষীর বিষয়ে তারেক রহমানের পক্ষের জেরা খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে অ্যাডপ্ট করতে বলেছেন হাইকোর্ট।

গত ২৭ জুলাই ১১ সাক্ষীকে পুনরায় জেরা করতে খালেদা জিয়ার করা আবেদন নাকচ করে দেন ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামানের আদালত।

সাক্ষীরা হলেন- ৫, ৬, ৭, ৮, ১৫, ১৬, ২২, ২৩, ২৬, ২৭ ও ২৮ নম্বর সাক্ষী।

২০০৮ সালের ০৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুদক। এতিমদের সহায়তার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করে এ মামলার বিচার শুরু হয়।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। বর্তমানে ৩৪২ ধারায় প্রধান আসামি খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন চলমান। অন্য দুই আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন।

ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। আর লন্ডনে থাকা তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে মামলাটির বিচার চলছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।