শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে জেলে ঢুকাবে আর আওয়ামী লীগ নির্বাচন দিবে সে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে।
তিনি বলেন, দেশে এখন একটাই সংকট, তা হচ্ছে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি। আওয়ামী লীগ মানে গণতন্ত্রের সংকট। এখন আপনাদের চিন্তা করতে হবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন নাকি আওয়ামী লীগকে মানবেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণ সরকারের ওপর ক্ষুদ্ধ। তাদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে যোগ্য সাহসী নেতৃত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারছি না আমরা। এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার করে আমরা ঘরে বসে আছি। রাজপথে নামছি না। এভাবে আন্দোলন হবে না।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করে কিছু হবে না দাবি করে গয়েশ্বর বলেন, আলোচনা হবে যারা আইন মানে, বিধান মানে এবং কথা শুনে। আওয়ামী লীগ তো ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। ভিন্নমত হলেই গ্রেফতার ও মামলা দেওয়া হয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মতপ্রকাশের ন্যূনতম স্বাধীনতা তারা পাচ্ছে না।
‘চলমান রাজনৈতিক সংকট, আগামী জাতীয় নির্বাচন কোন পথে বাংলাদেশ' শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বন্ধু দল।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শরীফ মোস্তফা জামান লিটুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, সহ-দফতর সম্পাদক মুনীর হোসেন, ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৭
এমসি/আরআইএস/