নিজেদের সঙ্গে নিয়ে আসা খাবারের খালি প্যাকেট, খাবারের উচ্ছিষ্টাংশ, পানি ও কোমল পানীয়ের খালি বোতল, ঝালমুড়ি, ছোলা খাওয়ার পর খালি কাগজ ও ঠোঙায় প্রায় ঢাকা পড়ে গেছে গোটা উদ্যান।
সেই সঙ্গে সমাবেশ শেষে বিএনপিকর্মীরা হাতে-হাতে নিয়ে আসা ব্যানার-ফেস্টুনও ফেলে গেছেন এখানেই।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন ঘেঁষে যে গ্লাস টাওয়ার, সেটির পাশে তৈরি করা মঞ্চে বিকালে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার দলের প্রথম সারিরর নেতারা। খালেদা জিয়া এবং দলের নেতাদের বক্তব্যের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে উদ্যান ও উদ্যানের আশপাশের এলাকাজুড়ে।
বিকালে খালেদা জিয়া একঘণ্টা ধরে বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যের সময়ও কর্মীদের খাবার খেতে দেখা গেছে মঞ্চের পিছনে। খাবারের সঙ্গে টিস্যু সরবরাহ করা হলেও খাবারের প্যাকেটগুলো তারা অবলীলায় ফেলছিলেন মাঠেই।
বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সোহরাওয়ার্দীর মাঠে ধুলোর সঙ্গে পড়ে থাকা কাগজ, খাবারের রখালি প্যাকেট আর ঠোঙাও পায়ে পায়ে ছড়িয়ে পড়ে গোটা মাঠজুড়ে।
কাঁধে বস্তা নিয়ে মঞ্চের পেছনের অংশে বোতল কুড়াচ্ছিল সাত বছরের সুজন। একটি গাছের নিচে জড়ো করছিলো সে বোতলগুলো। আর সেসব বড় বস্তায় পুরছিলেন তার বাবা মামুন।
হোসনী দালান এলাকার বাসিন্দা মামুন বাংলানিউজকে জানান, ভাঙ্গারির ব্যবসা করলেও আজ সমাবেশকে কেন্দ্র করেই তারা এখানে এসেছেন; একসঙ্গে অনেক ফেলনা জিনিস পাওয়া যাবে এই আশায়। প্রতিকেজি ১০ টাকা দরে বিক্রি করা যাবে, এটা এক বাড়তি ইনকাম। সেই সঙ্গে মাঠটাও পরিষ্কার হলো।
যদিও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দেখভাল করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের, তবুও তারাও এর পরিচ্ছন্নতায় কিছুটা অবদান রাখতে পারলেন বোতল কুড়ানোর অছিলায়।
মামুন বললেন, সকালে হয়তো উদ্যানের লোকজন এসে উদ্যান পরিষ্কার করবে। তবে যারাই পরিষ্কার করুক, বেশ বেগ পেতে হবে। এতোবড় উদ্যান পরিষ্কার করা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়!
মাঠের বাইরে শাহবাগ, টিএসসি, মৎস্য ভবন, সেগুনবাগিচা, কাকরাইল এলাকাতেও দেখা যায় অপরিষ্কার আর অপরিচ্ছন্নতার চিত্র। সব মিলিয়ে বিএনপির এই সমাবেশ পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাজ বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকখানি।
বাংলাদেশ সময়:২১০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
এমআইএইচ/জেএম