গ্রেফতারকৃতরা হলেন-পাথরঘাটা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহি আনান দানিয়াল (২২), সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ছোট্ট (২১), সাংগঠনিক সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম রায়হান (১৯) উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো. মাহমুদ (১৮) ও কলেজের নৈশ প্রহরী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৪)।
বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক জানান, চলতি বছরের ১০ আগস্ট পাথরঘাটা কলেজের পশ্চিম পাশের পুকুর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জাহাঙ্গীরের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদ ও রায়হানকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে রোববার বিকেলে তাদের পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হয়।
এর আগে রোববার দুপুরের দিকে পাথরঘাটা কলেজ চত্বর থেকে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি রুহি আনান দানিয়াল ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ছোট্টকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
পুলিশ সুপার বিজয় বসাক আরো জানান, এখনও পর্যন্ত নিহত তরুণীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে রোববার গ্রেফতারকৃত দানিয়াল এবং সাদ্দামকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। যেকোনো সময় তাদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হবে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর তরুণীর পরিচয় পাওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি। তবে মাহমুদ এবং রায়হান এ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার বিজয় বসাক।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জিয়াউল হক বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেফতারকৃত নৈশ প্রহরী জাহাঙ্গীর ও ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ৩ মাসের সাধনায় আজ একটি পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি। আশা করছি খুব শিগগিরই হত্যার রহস্য উন্মোচিত হবে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বরগুনা পুলিশ সুপারের আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।
১০ আগস্ট দুপুরে পাথরঘাটা কলেজের পেছনের পুকুর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ওইদিনই পাথরঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। (যার নম্বর- ১২/১৭)।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, ১৩ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ