ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে পরিশ্রম করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে পরিশ্রম করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী রাজবাড়ী পৌরসভায় নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। ছবি: বাংলানিউজ

রাজবাড়ী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতাই নন, তিনি বিশ্বনন্দিত নেতা। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টাই কাজ করেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায় করেন।

ফজরের নামাজ পড়ে কোরআন তিলাওয়াত করে ঘর থেকে বের হন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ধর্মভীরু মুসলমান। তিনি নিজের ধর্ম নিজে পালন করেন এবং অন্যের ধর্মকেও শ্রদ্ধা করেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করেন বলেই এটা করেন, যোগ করেন মন্ত্রী।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যখন গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছিলো, গণহত্যা চালাচ্ছিলো, শত শত রোহিঙ্গা যখন নাফ নদীতে ভেসে রক্তে রঞ্জিত হয়েছিলো, আমরা প্রথমে তাদের ঢুকতে দেইনি। তখন প্রধানমন্ত্রী কী বলেন সে অপেক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ নিয়ে আমরা দাঁড়িয়েছিলাম। এরপর প্রধানমন্ত্রী বললেন, এদের আসতে দাও, এদের বাঁচতে দাও। প্রধানমন্ত্রী শুধু রোহিঙ্গাদের এনেই বসে থাকেননি। তিনি কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছুটে গেছেন তাদের কাছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, আপনি যেখানে যাবেন তার পাশেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে, মর্টার শেল নিক্ষেপ করছে, সেখানে যাওয়া নিরাপদ নয়। প্রধানমন্ত্রী বললেন, না আমি সেখানে যাবোই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি কুতুপালং ক্যাম্পে গেলেন, বুকে জড়িয়ে ধরলেন সর্বস্ব হারানো রোহিঙ্গাদের। এ কারণে বিশ্ববাসী তাকে মাদার অফ হিউম্যানিটি খেতাব দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ী পৌরসভায় নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী এসময় আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন করে খাদ্যঘাটতির এবং দুর্নীতির বাংলাদেশকে আজকের সফল বাংলাদেশে পরিণত করেছি। তাই, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিকল্প আর কিছু নেই। এগিয়ে যেতে হলে, অন্ধকার থেকে আলোকিত হতে হলে, আবারো নৌকা মার্কায় ভোটের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জয়যুক্ত করতে হবে।

রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জিল্লুল হাকিম, রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী কেরামত আলী, সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪১ এর সংসদ সদস্য কাজী রোজী, সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩৮ এর সংসদ সদস্য ও রাজবাড়ী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম, রাজবাড়ীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড. একেএম আজাদুর রহমান, রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার সালমা বেগম ও রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় নবনির্মিত মহেন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। এ অনুষ্ঠান শেষে তিনি নবনির্মিত কালুখালী থানা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং বালিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তিনি বালিয়াকান্দি কলেজের মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। সমাবেশের পর রাতেই তিনি সড়ক পথে ঢাকায় ফিরবেন।

এর আগে দুপুর ১২টায় মন্ত্রী রাজবাড়ী সার্কিট হাউজে পৌঁছালে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭/আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।