পূর্বশর্তগুলো হচ্ছে- সংসদ ভেঙে দিয়ে ভোটগ্রহণ, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সব দলের সংলাপ এবং বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা রাজনৈতিক মামলাগুলো প্রত্যাহার।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ শর্ত বাতলে দেন তিনি।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল।
এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচন দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করতে সরকারকে ওই শর্তগুলো পালন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। অথচ তার বিরুদ্ধের একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন। তাই তাকে ফিরিয়ে আনতে তরুণদের ভূমিকা রাখতে হবে। আশাকরি, তারেক রহমান আগামী জন্মদিন দেশেই পালন করবেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। কেননা, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, একথা পাগলেও বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে বে-আওয়ামী লীগের পতন ঘটাতে হবে। এজন্য তরুণদের তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ঐক্যবদ্ধ, সংঘবদ্ধ হতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাজী মো. লিটনের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি নেতা খায়রুল কবীর খোকনসহ অন্যান্য নেতারাও বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৭
ইইউডি/বিএস