তিনি বলেন, হয়তো ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা যদি সত্যি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল হন, তাহলে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার স্বার্থে সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্বের প্রামাণ্য ঐহিত্য হিসেবে ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রারে যুক্ত হওয়ায় জেলা শহরের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্বরে এ জনসভার আয়োজন করা হয়।
ডেপুটি স্পিকার এসময় বলেন, মহানবীর (সা.) বিদায় হজের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ। মহানবীর সেই ভাষণের বিকল্প ভাষণ আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে কেউ দিতে পারেনি, আর পারবেও না। এর বাইরে বিগত তিন হাজার বছরের মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ ভাষণ শুধু বাঙালি জাতির অহংকারের বিষয়ই নয়, অস্তিত্বেরও ভাষণ, স্বাধীনতারও ভাষণ। এটি রাজনৈতিক কাব্য। যা পৃথিবীর আর কেউ সৃষ্টি করতে পারেনি। কিন্তু বাঙালিদের দুর্ভাগ্য, এ ঐতিহাসিক ভাষণ আমরা দীর্ঘদিন শুনতে পাইনি। জিয়াউর রহমান সাহেব এ ভাষণ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের কালোরাত্রির পরে যেমন তারা চিন্তা করেছিলেন যে এ দেশে আর কোনোদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না, ঠিক তেমনি তারা ধরে নিয়েছিলেন, এ ভাষণ শুনলে বাঙালি জাতি আবার জাগ্রত হতে পারে।
পৃথিবীর ১৭৩টি দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে সবচেয়ে সৎ তিনজনের তিন নম্বরে রয়েছেন জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধ করতে খালেদা জিয়া পৃথিবীর বহু দেশে ধর্ণা দিয়েছেন, হাতে পায়ে ধরেছেন, দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছেন। কিন্তু শেখ হাসিনা মাথা নত করেননি। তিনি দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে, সংবিধান সমুন্নত রাখতে জীবন বাজি রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যোগ করেন ডেপুটি স্পিকার।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপির মধ্যে এখনো কিছু বুদ্ধিজীবী রয়েছেন, ব্যারিস্টার রয়েছেন। খালেদা জিয়াকে এখন এতিমদের টাকা চুরি করে খাওয়া মামলায় হাজিরা দিতে হয়। একজন চোরের পক্ষ সমর্থন করে রাত ১২টার পরে টেলিভিশনের টক শোতে অংশগ্রহণ করতে আপনাদের লজ্জা করে না? এখনো সময় আছে এগুলো বাদ দিন। নাহলে মনে রাখবেন, প্রয়োজনে আমরা চোর ও বাটপারদের বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করতে দ্বিধাবোধ করবো না।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী কেরামত আলী, সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩৮ এর সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি ও রাজবাড়ী পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
এসআই