বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হরতাল কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগে এই ঘোষণা দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক।
এছাড়া শুক্রবার বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানানো হয়।
হরতাল কর্মসূচি থেকে সাইফুল হক বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকার যদি বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য না কমায় তাহলে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জ, খুলনা, চৌগাছা, গাইবান্ধা, জামালপুর, কুমিল্লা, দিনাজপুর, যশোর, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার মোহাম্মদপুরে পুলিশ হরতাল সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ করেছে। এছাড়া সকালে সিপিবি অফিসে পুলিশের হামলা ও কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
একই অভিযোগ তুলে বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, দেশের সবাই আমাদের হরতালে সমর্থন দিয়েছেন। ১২ জন বুদ্ধিজীবী বিভিন্ন পত্রিকায় তাদের লেখনির মাধ্যমে আজ প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিক্রি করে সরকার ধর্ম ব্যবসায়ীদের কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে। সরকার মুখে মুক্তিযুদ্ধ কথা বলে কাজে শুধু লুটপাট আর গরীব মারার ফন্দি আটছে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, এটা ন্যায্য আন্দোলন। আমাদের শক্তি ন্যায্যতা। সরকার ডাকাতের মতো অর্থ লুট করছে।
তিনি বলেন, ৮ দিন গণশুনানি করে সরকারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিলো বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক। এটা তখন তারা বুঝেছিলো। কিন্তু তবুও সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে, যা জনগণের সঙ্গে ধোঁকা দেওয়া ছাড়া আর কিছু না।
বাম দলের ডাকা আধাবেলা এই হরতালে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। তবে বিএনপির উপস্থিত ছিলো না রাস্তায়।
এ বিষয়ে বাম মোর্চার জাতীয় কমিটির সদস্য আমেনা আক্তার বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য অন্যদের হরতালে সমর্থন দিয়েছে। তারাও সরকারের মতো ক্ষমতার পাগল।
হরতাল পালন সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাম মোর্চার সমন্বয়কারী মোশরেফা মিশু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশারফ হোসেন নান্নু, ওয়ার্কার্স পার্টির প্রেসেডিয়াম সদস্য কমরেড লক্ষ্মী চক্রবর্তীসসহ কয়েশ নেতাকর্মী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
এমএসি/এসএইচ