বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে দেওয়া শোকবার্তায় খালেদা জিয়া বলেন, ‘একজন সজ্জন মানুষ হিসাবে মেয়র আনিসুল হকের অকাল মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আনিসুল হক তার জীবোদ্দশায় নানামুখী কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত রেখে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে নিজেকে ঘনিষ্ট করে তুলেছিলেন।
‘তিনি তার অর্পিত দায়িত্ব পালনে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। একজন কর্মনিষ্ঠ এবং বিনয়ী মানুষ হিসাবে তিনি ছিলেন সর্বমহলে সমাদৃত। মরহুম আনিসুল হক সমাজসেবার নানা কর্মকাণ্ডের মধ্যেও নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন। না ফেরার দেশে চলে গেলেও সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তার ভূমিকা দেশবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে’।
‘আনিসুল হকের পৃথিবী থেকে চলে যাওয়া দেশবাসীর মাঝে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
শোক বার্তায় আনিসুল হকের বিদেহি আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকার্ত পরিবার-পরিজনকে সমবেদনাও জানিয়েছেন খালেদা জিয়া।
পৃথক বার্তায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মরহুম আনিসুল হকের বিদেহি আত্নার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং সদস্য শাইরুল কবীর খান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন ৬৫ বছর বয়সী মেয়র আনিসুল হক।
আগামী শনিবার (০২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে মেয়র আনিসুল হকের মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ওইদিনই বাদ আসর আর্মি স্টেডিয়ামে নামাজে জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এর আগে শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) বাদ জুমা লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৬
এএম/এসআই/এএসআর