শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলে খালেদা জিয়া বাম দলের ডাকা হরতালের অজুহাত দেখিয়ে আদালতে যান নি।
এর প্রতিবাদে বিকেলে রোববার (০৩ ডিসেম্বর) ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
রিজভী আহমেদ বলেন, মামলা দিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বিরোধী দলের নেতাকে বিপর্যস্ত করা সরকারের বৃহত্তর নীল নকশারই অংশ।
জনগণের টাকা হাতিয়ে নিতেই সরকার আরো নতুন তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সরকার মিয়ানমারের কাছে দেশের স্বার্থ বিক্রি করে দিয়েছে জানিয়ে রিজভী বলেন, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বলা হচ্ছে সরকার সফল হয়েছে। তাহলে কেন সীমান্তে এখনো রোহিঙ্গার ঢল? রোহিঙ্গাদের কবে থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে? সমঝোতা স্মারকে কি চুক্তি হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে সরকার কোনো বন্ধু রাষ্ট্রকে পাশে পায়নি এতেই প্রমাণ হয় যে, সরকার কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭
এএম/বিএস