শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রস্তুতির কথা জানান।
নির্বাচন কমিশন আগাম নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে কোনো সময়ে নির্বাচন হলে অংশগ্রহণে বিএনপি প্রস্তুত রয়েছে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ববলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আমি ৫০ বছরের বেশি আইনজীবী হিসেবে কাজ করছি, কখনো দেখিনি সাপ্তাহিক জামিন। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে প্রতি সপ্তাহে আদালতে আসতে বাধ্য করা হচ্ছে। গতদিন হরতালের কারণে খালেদা জিয়া আদালতে যেতে দেরি হবে জানানোর পরেও তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এতে আবারো প্রমাণ হলো নিম্ন আদালত স্বাধীন নয়। এই আদালতের নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী সংসদে আমাকে নিয়ে ৫ মিনিট বক্তব্য রেখেছেন। সেখানে আমার যতো খারাপ দিক আছে সব তুলে ধরেছেন। বহু সমালোচনা করেছেন। কিন্তু তিনি হয়তো ভুলে গেছেন বা ইচ্ছে করেই ভুলে গেছেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ আমরা সে সময়ে যারা আওয়ামী লীগ করতাম না এমন চারজন আইনজীবীই করেছিলাম। এই কৃতজ্ঞতা থাকা দরকার ছিলো।
'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে 'বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল'।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম এ হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- আমারদেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিশেষ অতিথি জাকারিয়া চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল ইসলাম রিজু প্রমুখ।
মাহমুদুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, গণমাধ্যমের পরাধীনতা দুই ধরনের। স্বেচ্ছায় এবং জোরপূর্বক পরাধীনতা। বাংলাদেশে বর্তমানে এই দুই ধরনের পরাধীনতা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমারদেশ কার্যালয়কে পুলিশ জোরপূর্বক বন্ধ করলেও আমার কথা বাংলাদেশের কোনো আদালত শোনেননি। আমি বিচার পাইনি। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ গণমাধ্যম স্বেচ্ছায় পরাধীনতা বরন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭
এসআইজে/বিএস