২৮ ডিসেম্বর সদর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (০৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় জেলা নির্বাচন অফিসে শুনানি চলাকালে এ হামলা ঘটনা ঘটে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মোস্তফা বাংলানিউজকে জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ধর্মপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন চেয়ারম্যান নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থক অপর প্রার্থী ইব্রাহিম খলিলও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তবে ইব্রাহিম খলিল বন মামলা নং- ৪১৯/২০১৪, টি,আর -১৪১/১৭ মামলায় করাতকল বিধিমালা ২০১২ এর ১২ ধারার অভিযোগে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। এ আলোকে তিনি উল্লেখিত কাগজপত্র শনিবার নির্বাচন অফিসে জমা দিয়ে ইব্রাহিম খলিলের মনোনয়নপত্র বাতিলের দাবি জানান।
রোববার দুপুরে এ বিষয়ে আপত্তি সংক্রান্ত শুনানিকালে জেলা নির্বাচন অফিসে প্রতিপক্ষ ইব্রাহিম খলিলের সমর্থকরা অতর্কিতে হামলা করে। এসময় মোস্তফার ছেলে মঈদুর রহমানসহ ৫ জনকে বেদম মারধর করে আহত করা হয়। খবর পেয়ে সুধারাম থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাদের উদ্ধার করে বাসায় পৌঁছে দেয়।
পরে সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মোস্তফা আল ফারুক একাডেমি প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে করে তার ও তার পরিবারের নিরাপত্তার দাবি করে এবং জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে এ বিষয়ে যথাযথ সহযোগিতার অনুরোধ জানান।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে নির্বাচন অফিস পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ