বৃহস্পতিবার (ডিসেম্বর ৭) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমান বিশ্বের ১২টি দেশে শত শত কোটি টাকা পাচার করেছেন।
সংগঠনের সভাপতি চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন, বিচারপতি শামসুদ্দিন আহমেদ মানিক, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের অরুন সরকার রানা।
মামলায় খালেদা জিয়ার শাস্তি হলে দলের নেতৃত্ব হাতে পাওয়ার জন্য বিএনপির অনেক নেতারা লাইন ধরে আছেন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির অনেক নেতা ভিতরে ভিতরে অন্য দল কিংবা সরকারের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করছেন।
মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভিতরে ভিতরে আপনার পাশে বসা অনেক নেতারা সরকারের সাথে যোগাযোগ করে বলেন বেগম জিয়ার কেন এখনো শাস্তি হয় না। বিএনপির অনেক নেতা লাইন ধরে আছে, যে কখন খালেদা জিয়ার শাস্তি হবে। আশা করি আগামী সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়টা নিয়ে কিছু বলবেন।
বিএনপি মহাসচিব প্রকারন্তরে নির্বাচনে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব সংবাদ সম্মেলন করেছেন, সেখানে তিনি বলেছেন অনেকের সাথে আগামী নির্বাচন নিয়ে ঐক্য হতে পারে। ফখরুল সাহেব যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দিলেন সেজন্য তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই, অভিনন্দন জানাই।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষকে যদি জিজ্ঞাসা করা হতো আলী বাবা চল্লিশ চোর থেকে আরও বড় কোনো চোর আছে কি না, তখন দেশবাসীর কাছে সেই নাম হতো খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া নিজেই দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন, ওনার দুর্নীতি এবার সৌদি যুবরাজদের বক্তব্যে বেরিয়ে এসেছে। সৌদি আরবের যে ১১ জন যুবরাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ২ জন যুবরাজ স্বীকার করেছেন তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে অর্থ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন বেগম খালেদা জিয়া, তার পুত্র তারেক রহমান, আরাফাত রহমান ও তাদের মামা।
আমি সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যেভাবে আরাফাত রহমান কোকোর টাকা ফেরত আনা হয়েছে, সেভাবে তারেক রহমানের টাকা ফেরত আনা হোক এবং তাদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সে সম্পত্তির বিক্রি করে অর্থ ফেরত আনা হোক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
এমএইচ/আরআই