বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি নেত্রীর উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, খেলা হবে নির্বাচনী মাঠে।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন আওয়ামী লীগ ভয় পায় না। কারণ আমরা জানি আন্দোলন কাকে বলে। গণতন্ত্রের জন্য রাস্তায় নেমেছি, মার খেয়েছি, জেল খেটেছি। আওয়ামী লীগ সব সময় আন্দোলনে চ্যাম্পিয়ন।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নাসিম বলেন, ‘আগামী বছর বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ গ্রহণের নির্বাচন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছিত করে আবারও ঘাতকদের গাড়িতে লাল-সবুজের পতাকা উড়বে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে নির্যাতিত হতে হবে। দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে শেখ হাসিনাকেই বিজয়ী করতে হবে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে সামনে রেখে প্রতিটি নেতাকর্মীকে মানুষের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে। ভুল করলে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া এখন ন্যায় বিচারের কথা বলছেন, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে চালানো গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর প্রাণ গেল, তখন ন্যায় বিচার কোথায় ছিল? হাজার হাজার নেতাকর্মীকে তারা নির্যাতন করেছেন, হত্যা করেছেন। তখন ন্যায় বিচার কোথায় ছিল? বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলো, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হলো- কোনো বিচার তারা করলেন না। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ করে দিলেন তার স্বামী (জিয়াউর রহমান)। তাদের মুখে ন্যায় বিচারের কথা শোভা পায় না। একমাত্র শেখ হাসিনাই দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। ’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপির সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলন এমপি, হাসিবুর রহমান স্বপন এমপি, তানভীর ইমাম এমপি, সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি, ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেসাম হোসেন বাবর, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য, কে এম হোসেন আলী হাসান, বিমল কুমার দাস, মোস্তফা কামাল খান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসহাক আলী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
আরবি/