বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকেই পূর্বঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে জমায়েত হতে থাকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। পরে সেখান থেকে বেলা ১২টায় দূতাবাস ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে রওনা দেন তারা।
পুলিশের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মিছিলসহ দলের নেতাকর্মীরা পল্টন মোড়, কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর এলাকায় এলে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয় পুলিশ।
এরপর পুলিশের সহায়তায় হেফাজতের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা আজীজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী।
এর আগে হেফাজতে ইসলাম বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে সমাবেশ করে।
ইসরাইলের হাত থেকে জেরুজালেম যতোদিন পর্যন্ত মুক্ত না হবে ততোদিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আসে সমাবেশ থেকে।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সব সম্পর্ক ছিন্ন এবং ইসরাইলের সব পণ্য বর্জন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
মিছিল শুরুর আগে ডিএমপি মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, এই ইস্যুতে এর আগেও হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। আগের সব কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে, আশা করি আজও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হবে না।
এ কর্মসূচিকে ঘিরে কোনধরনের বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
০৮ ডিসেম্বর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নূর হোছাইন কাসেমী এ ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তার ঘোষণা অনুযায়ী মিছিল নিয়ে পল্টন, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ মোড়, মৌচাক, রামপুরা হয়ে মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে পায়ে হেঁটে যাত্রার পরিকল্পনা ছিল। ঘেরাও শেষে দূতাবাসে হেফাজতের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
পিএম/এসএইচ