৩২৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ২০২১ সালের জুন মাসে এই কাজ শেষ হবে। এর মধ্যে রয়েছে বামনী নদীর সাত কিলোমিটার ড্রেজিং ও একটি স্লুইচ গেট।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট খালগুলো ড্রেজিংসহ ২৫ কিলোমিটার খাল পুনরায় খনন এবং নোয়াখালী ও মহিষমারা খালে স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হবে। এর ফলে কবিরহাট কোম্পানীগঞ্জ, সদর, সুবর্ণচর, বেগমগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসন হবে এবং কৃষি উৎপাদনে স্থানীয়রা উপকৃত হবে, যোগ করেন মন্ত্রী।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগের প্রধান জেনারেল সিদ্দিকুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়ন এলাকায় নোয়াখালী খাল পুনঃখননের ফলক নির্মাণের স্থান পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, সংস্কার না করায় কোনো কাজে আসছে না নোয়াখালী খাল। এ নিয়ে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা ও সেচ সমস্যায় জর্জরিত নোয়াখালীর জনগণ। অথচ এর সমাধান বিগত কোনো সরকারই করেনি। বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা এলাকার মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনায় রেখে নোয়াখালী খাল পুনরায় খননের জন্য একনেক এর বৈঠকে টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। খালটি পুনরায় খনন করা হলে জেলাবাসী উপকৃত হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী, কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিউলি একরাম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
এসআই