সোমবার (১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংগঠনের সভাপতি লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগ নেতা এম করিম ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দুর্জয় প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ৫ জানুয়ারি উপলক্ষে তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে। কিন্তু তাদের অতীতের সব সমাবেশ থেকে দেখা গেছে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে। তারা জানে, হয়তো খালেদার শাস্তি হতে পারে। এটি আঁচ করেই বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
‘আমি আশা করবো বিএনপি নতুন বছরে অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসবে। ইতোমধ্যে তারা যে সন্ত্রাসী সংগঠনের তকমা পেয়েছে, সেটা থেকে বেরিয়ে আসারও চেষ্টা করবে। বিএনপি কেবল কেয়ারটেকার সরকার ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে আন্দোলন করে। তারা কখনো জনগণের স্বার্থে আন্দোলন করে না। তাই জনগণ তাদের পক্ষে থাকতে পারে না।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, জনগণ ভীত-সন্ত্রস্ত আপনাদের কারণে। কারণ আপনারা গরম কথা বললে জনগণ চিন্তা করে আবার কখন পেট্রোল বোমা মেরে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারবেন। এদের থেকে সর্তক থাকতে হবে।
ড. কামাল হোসেন প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি অনেক বড় মাপের ব্যক্তি। কিন্তু উনি ব্যক্তিনির্ভর। জনগণের সঙ্গে ওনার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৩ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। এখন তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের নিয়ে কথা বলেন। ওনাকে বলবো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে তাকান। সেখানে সিনেট ও কংগ্রেসে অন্তত ২০ শতাংশ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
ইএস/এএ