বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে সাভারের রানা প্লাজার সামনে মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন রানা প্লাজা শাখার সভাপ্রধান সিরাজ ফকির।
আলম মাতব্বরের পরিচলনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, রানা প্লাজার আহত শ্রমিক রূপালী আক্তার, নিহত ফজলে রাব্বির মা রাহেলা বেগমসহ অন্যান্য নেতারা।
বক্তারা বলেন, রানা প্লাজা ধসের ৫৭ মাস চলছে অথচ এখনো দোষীরা শাস্তি পায়নি। দোষীদের শাস্তির প্রক্রিয়া বিলম্ব করে সরকার নিজের ভাবমূর্তি এবং দেশের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নের মুখোমুখি করেছে।
অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি দাবি করে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত প্রায় ৫ বছর ধরে প্রতি মাসের ২৪ বা কাছাকাছি দিনে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে সংগঠনটি। একইসাথে স্বজনহারারাও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তারা প্রশ্ন তোলেন মালিক এবং সরকারের কাছে এই বিলম্বের কারণ কী?
মানববন্ধনে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সময়ে শ্রমিকদের মজুরি ১৬,০০০ টাকা বৃদ্ধির দাবিটিকে সময়ের দাবি। নতুন মজুরি বোর্ডে প্রকৃত শ্রমিক প্রতিনিধি না রাখার সমালোচনা ও নিন্দা করেন তারা। একই সাথে নতুন মজুরি বোর্ডে মজুরি নির্ধারনের পূর্বে গণতান্ত্রিক উপায়ে সকল শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের মতামত গ্রহণের সুযোগ তৈরির আহ্বান জানান।
বক্তারা আরো বলেন, ৫৩০০ টাকায় বর্তমান বাজারে পরিবার নিয়ে ২৮০০ কিলোক্যালোরি শক্তি উৎপাদন করার মত খাদ্য যেমন গ্রহণ করা শ্রমিকদের পক্ষে সম্ভব না তেমনি জীবনের মৌলিক চাহিদা পূরণও সম্ভব না। শ্রমিকরা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রাণ, তাঁদের প্রাণ না বাঁচলে এই শিল্পও বাঁচবে না। তাই শিল্প ও শ্রমিক বাঁচাতেই মজুরি বৃদ্ধি জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
এমজেএফ