এ ব্যাপারে যশোর জেলা পুলিশের কন্ট্রোলরুম সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় ২৪ জন, কেশবপুরে ১৪ জন, শার্শায় ১৭ জন, বেনাপোল পোর্ট ১৬ জন, ঝিকরগাছা ১৬ জন, চৌগাছা ২ জন, মণিরামপুরে ১৫ জন, অভয়নগরে ৯ জন এবং বাঘারপাড়া থানায় ১২ জনসহ মোট ১২৫ জনকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে বিএনপির ৮০ ও জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী রয়েছে।
এছাড়াও, গত ৩১ জানুয়ারি (বুধবার) রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫৩ জনকে আটক করা হয়। তবে ওই রাতেই জেলা বিএনপির নীতিনির্ধারক সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের দুই ছেলে সুমিত ও অমিত ঢাকায় আটক হয়।
এসব ঘটনায় বৃহস্পতিবার জেলার নয়টি থানায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ এনে পুলিশ বাদী হয়ে ১৪টি মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি-জামায়াতের ৩৮১ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের আটকের পাশাপাশি হঠাৎ করে জেলাব্যাপী নেতাকর্মীদের ধরপাকড় শুরু হওয়ায় গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছে নেতাকর্মীরা। এমনকি গ্রেফতার এড়াতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮
ইউজি/জিপি