বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ও মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় ফেনীতে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতয়েন করা হয়েছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায় সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবিও মাঠে থাকবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী বাইপাস সড়কে নাশকতা রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ইতিমধ্যে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় গেলে নিজ জেলা ফেনীতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকার।
বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো চিঠির আলোকে কাজ করতে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নাশকতা রোধে টহল জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, খালেদার রায়কে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মহাসড়কের ফেনী অংশের ধুমঘাট থেকে দত্তসার এলাকা পর্যন্ত কোনো ধরনের গাড়ি রাখা যাবে না।
যে কোনো নাশকতা ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে পরিবহন মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, বিভিন্ন মামলার আলোকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। যাদের নামে মামলা রয়েছে, যারা অপরাধী তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহের বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে তাদের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তল্লাশি ও আটক করছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) খালেদা জিয়ার রায়ের পর তারা ফেনীতে শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে থাকবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
এসএইচডি/আরআইএস/